• বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:০৯ অপরাহ্ন

বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের তৎপরতা ‘নয়া উপনিবেশবাদ’: রাশিয়া

স্বাধীন ভোর ডেস্ক / ১০৮ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় শনিবার, ৮ জুলাই, ২০২৩

বাংলাদেশে নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের আইনেই স্পষ্ট বলা আছে। এরপরও বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা কিছু দেশের তৎপরতাকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের চেষ্টা হিসেবে দেখছে রাশিয়া। বিষয়টিকে ‘নয়া উপনিবেশবাদ’ বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা।

গতকাল বৃহস্পতিবার মস্কোতে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে এ কথা বলেন। তার বক্তব্যের অংশবিশেষ বৃহস্পতিবার রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের টুইটারে প্রকাশিত হয়েছিল। শুক্রবার পুরো বক্তব্য রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।

বাংলাদেশ প্রসঙ্গে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বলেন, ‘বাংলাদেশে ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ নির্বাচন পরিচালনায় সহায়তার আহ্বান জানিয়ে গত জুনে ইউরোপীয় পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতিবিষয়ক হাইরিপ্রেজেন্টেটিভ জোসেফ বোরেলকে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ছয় জন সদস্যের এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনকে ডেমোক্রেট দলীয় মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের লেখা চিঠিগুলো আমরা আমলে নিয়েছি।’

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘বাংলাদেশ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য বলে আমি আগে কখনো শুনিনি। আমি এটি শুনিনি, কারণ বাংলাদেশ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য নয়। আমি জানতাম না যে বাংলাদেশের নির্বাচন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে যুক্ত।’

রুশ মুখপাত্র বলেন, ‘পশ্চিমাদের কথা হলো, ইইউর পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতিবিষয়ক হাইরিপ্রেজেন্টেটিভ বাংলাদেশে নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ে নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের জন্য কিছু সুপারিশ করবেন। এটা নয়া উপনিবেশবাদ ছাড়া আর কী? এটি প্রধান নগরের প্রকৃতি এবং তাদের উপনিবেশগুলোর প্রতি মনোভাবের প্রকাশ ছাড়া আর কী?’

মারিয়া জাখারোভা বলেন, ‘এটি একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে স্পষ্ট হস্তক্ষেপের একটি প্রচেষ্টা। আমরা বুঝতে পারি, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ কীভাবে নির্বাচন করতে হবে সে বিষয়ে পশ্চিমাদের পরামর্শ চাননি।’

রুশ মুখপাত্র বলেন, ‘যারা যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমালোচনার শিকার হচ্ছেন, তাদের বেশিরভাগই যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে যান না। বরং ওই দেশগুলো তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপীয় ইউনিয়নকে হস্তক্ষেপ না করার এবং যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপীয় ইউনিয়নকে নিজেদের সমস্যা মোকাবিলার আহ্বান জানায়।’

 


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ