একদিন স্থিতিশীল থাকার পর আজ বুধবার (৫ জুলাই) আবার বাড়ছে ব্রহ্মপুত্র, যমুনা ও পদ্মার শাখা ও উপ-নদনদীগুলোর পানি। সোমেশ্বরী নদীর পানি আগেই বাড়তে শুরু করলেও নতুন করে বাড়ছে খোয়াই ও ধলাইর পানি। এতে লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার কিছু নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। তবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্য নদীগুলোর পানি কমছে। এ কারণে নেত্রকোনা জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা-পদ্মার সঙ্গে যুক্ত নদ-নদীগুলোর পানি বাড়ছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এদিকে খোয়াই, সোমেশ্বরী ও ধলাই ছাড়া দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সব প্রধান নদ-নদীর পানি কমছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় নেত্রকোনা জেলার নিম্নাঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। তবে ধলাই নদী কমলগঞ্জ পয়েন্টে স্বল্প সময়ের জন্য বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে।
এদিকে আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। ফলে লালমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার কিছু নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
কেন্দ্র জানায়, তাদের পর্যবেক্ষণে থাকা পানি সমতল স্টেশন আছে ১০৯টি। এরমধ্যে পানি বেড়েছে ৭২টি স্টেশনের, কমেছে ৩৫টির, আর অপরিবর্তিত আছে দুটির। এদিকে বিপদসীমার ওপরে উঠেছে দুটি স্টেশনের পানি, এতে বন্যা কবলিত হয়েছে ২ জেলা।
সুনামগঞ্জের সুরমা নদীর পানি এবং দেরাই স্টেশনের পুরাতন সুরমা নদীর পানি এখন বিপদসীমার নিচে নেমেছে। তবে নেত্রকোনার কমলাকান্দার সোমেশ্বরী নদীর পানি বিপদসীমার ২৬ মিটার ওপর দিয়েই বইছে। এদিকে নতুন করে বাল্লা স্টেশনের খোয়াই নদীর পানি বিপদসীমার ৩৬ মিটার ওপর দিয়ে বইছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে হবিগঞ্জের চাঁদপুর বাগানে ১৬৫ মিলিমিটার। এছাড়া মৌলভীবাজারের কামালগঞ্জে ৮৬, শ্রীমঙ্গলে ৭৩, মনু রেলওয়ে ব্রিজে ১২৩, হবিগঞ্জের ইটখোলায় ৭৭, বান্দরবানের লামায় ৬২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।