ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় আবারও উত্তপ্ত পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনের জেনিন শরণার্থী ক্যাম্প। সোমবার রাতে বিমান থেকে ১০ বারের বেশি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। তাদের আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত ৯ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হন আরও অনেকে।
গভীর রাতে জেনিন ক্যাম্পে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে ক্যাম্পজুড়ে। কয়েকটি জায়গায় কলো ধোঁয়া কুণ্ডলী পাকিয়ে উড়তে থাকে। শুধু বিমান থেকেই হামলা নয়, ক্যাম্পের চারপাশে সামরিক গাড়ির বহর নিয়ে ঘিরে রাখে। একপর্যায়ে ভেতরে ঢুকে অভিযান চালায়। এতে একাধিক সড়ক ও আবাসিক ভবন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্তের খবর পাওয়া গেছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) বিবৃতিতে দাবি করেছে, তারা জেনিন এলাকায় সন্ত্রাসী অবকাঠামোতে হামলা চালাচ্ছে। সন্ত্রাসীরা আস্তানা হিসেবে এই ক্যাম্প ব্যবহার করে বেসামরিক লোকদের ক্ষতি করছে। এ অবস্থায় আমরা চুপ করে বসে থাকব না। ক্যাম্পটি একটি সন্ত্রাসী ঘাঁটি।
এখন পর্যন্ত চারজনের মরদেহ শনাক্ত করেছে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তারা হলেন– সামিহ আবু আল-ওয়াফা, হুসাম আবু থিবা, আউস আল-হানুন এবং নুর আল-দিন মারশউদ। তারা বুকে ও মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন বলে নিশ্চিত করেছে মন্ত্রণালয়। ক্যাম্পে ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডবে অন্তত ২৭ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন এখন পর্যন্ত। তাদের মধ্যে ৮ জনের অবস্থা গুরুতর।
এই প্রতিবেদনে লেখা পর্যন্ত ক্যাম্প এবং আশপাশের এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীকে কঠোর অবস্থানে দেখা গেছে। ইসরায়েলের দখলকৃত জেরুজালেমের আল জাজিরার ব্যুরো প্রধান ওয়ালিদ আল ওমারি বলেছেন, প্রায় ১৫০টি সাঁজোয়া যান, অভিজাত বিশেষ বাহিনী, সামরিক বাহিনীর প্রায় এক হাজার সেনা, গোয়েন্দা, পুলিশ এবং সীমান্ত পুলিশ অভিযানে অংশ নিচ্ছে।
আল জাজিরার সঙ্গে কথা বলার সময় জেনিনের উপ-গভর্নর কামাল আবু আল-রুব বলেছেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী শুধু সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে না, ক্যাম্পের অবকাঠামোও বাদ যাচ্ছে না। তারা বিদ্যুৎ, টেলিযোগাযোগ এবং পানির সংযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। সূত্র: আল জাজিরা