• শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:০৫ অপরাহ্ন

ঈদে শেরপুরের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের উপচে পরা ভিড়

স্বাধীন ভোর ডেস্ক / ৯৯ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় শনিবার, ১ জুলাই, ২০২৩

হাফিজুর রহমান লাভলু, শেরপুর

ঈদকে কেন্দ্র করে প্রতিবছর গজনী ও মধুটিলা ইকোপার্কে পর্যটকদের প্র‍চুর সমাগম থাকলেও এবার বৃষ্টি বাধায় তা বিঘ্নিত হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে  বিনোদন প্রেমীরা দুরে না গিয়ে ছুটে যাচ্ছেন শেরপুর সদরের কাছাকাছি বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। শেরপুর সদরের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের ভীড় চোখে পড়ার মতো। ঈদুল আজহার দিন বিকেল থেকেই জমে উঠে সদরের শ্যামলী শিশু পার্ক, গুল্ডেনভেলী পার্ক, অর্কিড, দারোগআলী পৌর পার্ক। ঈদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিন বৃষ্টি থাকলেও ভ্রমণ পিয়াসীদের থামাতে পারেনি।  সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঈদের দিন বিকেল থেকেই জেলা শহরের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড় ছিল। এসব পার্কে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা ছিলো উচ্ছসিত। শেরপুরে ঈদের একদিন আগেও ছিলো প্রচন্ড গরম। ঈদের আগের দিন রাত থেকে শুরু হয় বৃষ্টি। এতে শীতল আবহাওয়ায় প্রাণ জুড়িয়ে যায় মানুষের। তাই এবার শেরপুরে কাটছে বৃষ্টি বিঘ্নিত ঈদ। এ অবস্থা নিয়ে ঈদের দিন থেকেই আনন্দ ছড়িয়েছে বিনোদন কেন্দ্রগুলোতেও। প্রতিবছর গজনী ও মধুটিলা ইকোপার্কে পর্যটনের প্র‍চুর সমাগম ঘটে। কিন্তু এবার বৃষ্টি বাধায় তা হচ্ছে না। তাই বিনোদন প্রেমীরা ছুটে যাচ্ছেন শেরপুর সদরের কাছাকাছি বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। কোরবানীর ঈদ হওয়ায় কোরবানীর পশুর গোস্ত কাটা শেষেই বাড়ীর বাইরে বের হয় সব বয়সের মানুষ। জেলায় মেঘলা আকাশ ছিলো। এরই মধ্যে জেলা সদরের বিনোদন কেন্দ্রগুলোয় ঢল নামে সব বয়সের মানুষের। পূর্বের সূর্য পশ্চিমে ঢলতেই পরিবার-পরিজন নিয়ে, ঈদের নতুন পোশাকে বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রে ভিড় জমান তারা। বিশেষ করে দর্শনার্থীদের রাতের আলোক সজ্জায় আকৃষ্ট করছে বেশী। সন্ধ্যার পর বিনোদন প্রেমীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে যায় পার্কগুলো। শেরপুর শহরের শ্যামলী শিশু পার্ক, দারোগআলী পৌর শিশুপার্ক, গোল্ডেন ভেলী পার্কে ও অর্কিডে পরিবার পরিজন নিয়ে চলে আসে মানুষ। এসব পার্কে ঘোড়ার গাড়ী, প্যাডেল বোড, নাগর দোলা, ট্রেন, সাম্পান নৌকা, রেল গাড়ী, চরকী, পুতুল নাচ, রয়েছে গানের তালে তালে পানিতে নেমে গোসল করার সুযোগ। আর এসব নানা রাইটস দেখে আনন্দিত শিশু কিশোররা। পৌরশহর থেকে ঘুরতে আসা রাকিবুল আওয়াল পাপুল বলেন, আগে ঈদ এলেই গজনী ও মধুটিলায় ঘুরতে যাইতাম। কিন্তু এবার বৃষ্টির কারণে যেতে পারিনি। তবে শহরের কাছাকাছি বিনোদন কেন্দ্র হয়েছে তাই কাছাকাছি আসছি। এখানেও অনেক রাইডস আছে বন্ধু-বান্ধব মিলে অনেক মজা করলাম। সদরের সাগর মিয়া বলেন, শহরের ভিতরে পার্কগুলো অনেক সুন্দর। বৃষ্টি কারণে দুরে কোথাও যাওয়া হবে না মনে হয়। তাই বউকে নিয়ে কাছেই ঘুরতে আসলাম। শিশু লাবিবা বলে, আমি মা- বাবার সাথে ঘুরতে এসে অনেক মজা করলাম। অনেক কিছু দেখলাম। অনেক রাইডসে ওঠলাম। অনেক কিছু খেলাম। খুব ভালো লেগেছে। শহরের জুই বলেন, আসলে প্রতি ঈদেই ঘুরতে বের হই। আমরা মেয়ে মানুষ কাছাকাছি জায়গায় বেশি যাই। এই বিনোদন কেন্দ্রগুলিতে রাত পর্যন্ত থাকলেও কোন সমস্যা নাই। আর রাতে আরও বেশি জমে উঠে। রাতে আরও বেশি সুন্দর হয়। শেরপুর জেলা শহরে আগে তেমন কোন বিনোদন কেন্দ্র ছিলোনা। কিন্তু সম্প্রতি বেসরকারীভাবে গড়ে উঠেছে কয়েকটি বিনোদন কেন্দ্র। এসব বিনোদন কেন্দ্রে ঈদসহ বিভিন্ন দিবসে মানুষ ঘুরে আনন্দ উপভোগ করে আসছে। এসব বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা থাকায় দিন থেকে রাত অবদি পর্যন্ত বিনোদন উপভোগ করে থাকে। শ্যামলী শিশু পার্ক ও রেস্তোরার ম্যানেজার সাহাদৎ হোসেন স্মরন জানান, ঈদে পার্কগুলোতে প্রচুর ভীড়। ঈদে তারা নানাভাবে সু-সজ্জিত করেছে পার্কগুলো। আগামী এক সপ্তাহ এই ভীড় অব্যহত থাকবে বলে তার আশা।ৱ অর্কিডের মালিক আবু সাঈদ বলেন, আমরা ঈদের কয়েকদিন আগে থেকেই ভালো প্রস্তুতি নিয়েছি। এবার পর্যটন ভালো আসতেছে। বিনোদন প্রেমীরা ভালো সাড়া ফেলেছে। আর এমনভাবে আসলে আমাদের এবছর ভালো লাভ হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ