একাধিক ব্যবসায়ী জানান, পছন্দের হাটে গরু নিয়ে যাওয়ার সময় ইজারাদারদের লোকজন বাধা দেয়। অনেক ব্যবসায়ীকে তারা হাটে গরু নামাতে বাধ্যও করেছেন। এ নিয়ে ইজারাদারদের লোকজনের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বাগবিতণ্ডার ঘটনাও ঘটছে।
আফতাবনগর গরুর হাটে নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী জানান, গাবতলী হয়ে গরু নিয়ে আসার সময় তার ট্রাক গাবতলী হাটের লোকজন জোর করে থামানোর চেষ্টা করে। এ সময় তার সঙ্গে ইজারাদারের লোকজনের বাগবিতণ্ডা হয়। তিনি পুলিশে খবর দেওয়ার উদ্যোগ নিলে ইজারাদারের লোকজন তাকে ছেড়ে দেয়। আগে থেকেই আফতাবনগর হাটে সবকিছু ঠিক করে রাখায় পরে তিনি সেখানে গরু নিয়ে পৌঁছাতে পেরেছেন।
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরের একজন কর্মকর্তা জানান, গত ছয় দিনে পশুর হাট ও ব্যাপারীদের কাছ থেকে তারা ২৮২টি ফোন পেয়েছেন। এসব কলের মধ্যে ১১১টিই ছিল ব্যাপারীদের পছন্দের হাটে যেতে ইজারাদারদের বাধা দেওয়ার বিষয়ে। ইজারাদারদের লোকজন নিজ নিজ হাটে বিভিন্ন ব্যবসায়ীকে ট্রাক থেকে গরু নামাতে বাধ্য করেছে। পরবর্তীকালে ৯৯৯ নম্বরে কল দেওয়ায় স্থানীয় থানার পুলিশ গিয়ে ব্যাপারীদের সহযোগিতা করেছে।
জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরের পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার জানান, গত ২০ জুন থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত পশুর হাট ও পশু সংক্রান্ত ২৮২টি কল এসেছে। এরমধ্যে রয়েছে— জোরপূর্বক পশুর গাড়ি হাটে নিয়ে যাওয়ার ১১১টি কল, হাটে চাঁদাবাজির ৬৬টি, সড়কে চাঁদাবাজির ২৬টি, অজ্ঞান পার্টির বিরুদ্ধে ১১টি, নৌপথে পশুর যানে চাঁদাবাজির ৮টি, জাল টাকার ৪টি এবং অন্যান্য ইস্যুতে আরও ৫৬টি কল।প্রতিটি ঘটনায় ব্যবসায়ী ও পশুর মালিকের চাহিদা অনুযায়ী সমাধান করে দিয়েছে পুলিশ। সব ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা যখন যেখানে যে ধরনের অভিযোগ পেয়েছি, তখনই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। সব থানায় আমাদের স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে—এসব ক্ষেত্রে কাউকে ছাড় দেওয়া যাবে না। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণ করতে হবে।’