• সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২৯ পূর্বাহ্ন

ঈদের ছুটির প্রথম দিনে পুরনো রূপে সদরঘাট

স্বাধীন ভোর ডেস্ক / ১৪৯ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় বুধবার, ২৮ জুন, ২০২৩

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকারি ছুটি শুরুর দিনই রাজধানীর প্রধান নদীবন্দর সদরঘাট নৌ-টার্মিনালে যাত্রীর চাপ দেখা গেছে। বাড়ানো হয়েছে দৈনিক চলাচলকারী লঞ্চের সংখ্যাও। পন্টুনে যাত্রীদের দৃষ্টি আকর্ষণে সমান তালে চলছে হাঁক-ডাক। সব মিলিয়ে পুরনো রূপে ফিরেছে সদরঘাট। পর্যাপ্ত লঞ্চ থাকায় যাত্রীরাও প্রকাশ করছেন স্বস্তি।

মঙ্গলবার (২৭ জুন) বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত টার্মিনাল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিকাল থেকে কম-বেশি যাত্রী আসলেও সন্ধ্যার দিকে যাত্রীর ঢল নামতে শুরু করে সদরঘাট এলাকায়। টার্মিনাল ও পন্টুনে পা ফেলার জায়গা ছিল না। দক্ষিণাঞ্চলগামী লঞ্চগুলোর ডেকে যাত্রী উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো৷ ডেক, সোফা, কেবিন কানায় কানায় ভর্তি হয়েই সন্ধ্যার পর থেকে বিভিন্ন রুটে ছেড়ে গেছে লঞ্চগুলো। যাত্রী উপস্থিতে খুশি লঞ্চ সংশ্লিষ্টরাও।

যাত্রীরা বলছেন,  ঘাটে পূর্বের মতো ভোগান্তি নেই। তবে গুলিস্তান-সদরঘাট রুটে বরাবরের মতই যানজটে নাকাল হতে হয়েছে তাদের। বিশেষ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে সদরঘাট পুরো রাস্তায় জট থাকায় হেঁটে আসতে হয়েছে তাদের। বৃষ্টির কারণে ভোগান্তি দ্বিগুণ হলেও ঘাটে এসে সহজে লঞ্চ পাওয়া খুশি সবাই।

বরগুনাগামী যাত্রী মনিরুজ্জামান খান বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে আসতে ঝামেলা হয়েছে। গুলিস্তান থেকে সদরঘাট যে পরিমাণ জ্যাম, বাস এগোতেই পারেনি। পরে বাস থেকে নেমে হেঁটে আসতে হয়েছে। তবে অগ্রিম কেবিন নেওয়া ছিল, তাই ঘাটে এসে ঝামেলা হয়নি কোনও। ‘

লঞ্চ সংশ্লিষ্টরা বলেন, ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলের নৌযাত্রীরা নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে সদরঘাট আসছেন। নিয়মিত চলাচলকারী লঞ্চগুলোর কেবিনের অগ্রিম টিকিট প্রায় শতভাগ বিক্রি আগেই শেষ হয়েছে। তবে সব রুটেই কমবেশি লঞ্চের সংখ্যা বাড়ানোয় ঘাটে এসেও কেবিনের টিকিট সংগ্রহ করতে পারছেন যাত্রীরা। তবে কেবিনের তুলনায় ডেকের যাত্রীর চাপই বেশি। তবে ঢাকা-বরিশাল রুটে অগ্রিম টিকিট বিক্রির হার কিছুটা কম। যাত্রী টানতে গত ঈদের মতো এবারও ভাড়ায় কিছুটা ছাড় দিচ্ছেন মালিকরা।

বরিশাল রুটে চলাচলকারী পারাবত লঞ্চের স্টাফ আলিমুর রহমান বলেন, ‘অগ্রিম টিকিট মোটামুটি আগেই শেষ আমাদের। এখন ডেক আর সোফার চাহিদা বেশি। ২৬-২৭ কেবিন শতভাগই বিক্রি হয়ে ছিল, তবে ২৮-২৯ বেশ কিছু কেবিন ফাঁকা রয়েছে। তবে লঞ্চ ছাড়ার দিন বিক্রি হয়ে যাবে আশা করছি।’


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ