• বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:৩৪ অপরাহ্ন

রোমাঞ্চকর টাইয়ের পর সুপার ওভারে ডাচদের উইন্ডিজ বধ

স্বাধীন ভোর ডেস্ক / ৭০ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় সোমবার, ২৬ জুন, ২০২৩

আগের ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে ২৬৮ রানে থামিয়েও অকল্পনীয় পরাজয় বরণ করতে হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। সোমবার ৩৭৪ রানের বিশাল সংগ্রহ করেও জয়ে ফিরতে পারলো না তারা। নেদারল্যান্ডস রোমাঞ্চ ছড়িয়ে চমকে দিয়েছে ক্যারিবিয়ানদের।

তবে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ম্যাচের নিষ্পত্তি হয়নি। রোমাঞ্চ ছড়িয়ে নেদারল্যান্ডসকে রুখে দিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ম্যাচ টাই হলে সুপার ওভারে ঝড় তোলে ডাচরা। লোগান ফন বিক প্রতি বলেই জেসন হোল্ডারকে চার কিংবা ছয় মেরেছেন। তিনটি করে চার ও ছয় হাঁকান ডাচ ব্যাটার। ৩০ রান তোলে নেদারল্যান্ডস। অন্য প্রান্তে থাকা স্কট এডওয়ার্ডসকে একটি বলও খেলতে দেননি ফন বিক। তিনিই বল হাতে নেন, জনসন চার্লস প্রথম বলে ছক্কা মারলেও আর উড়াতে পারেননি। পরের দুটি বলে সিঙ্গেল। তারপর চতুর্থ ও পঞ্চম বলে বরাদ্দ থাকা দুটি উইকেট হারায় উইন্ডিজ। ২ উইকেটে ৮ রান তোলে তারা।

লক্ষ্যে নেমে অধিনায়ক এডওয়ার্ডস ও তেজা নিদামানুরুর ১৪৩ রানের জুটিতে ৪৪ ওভার শেষে শক্ত অবস্থানে ছিল নেদারল্যান্ডস। কিন্তু ১২ বলের মধ্যে  তিন ব্যাটার প্যাভিলিয়নে ফিরলে বিপদে পড়ে ডাচরা। ৭৬ বলে ১১ চার ও ৩ ছয়ে ১১১ রান করেন তেজা। এডওয়ার্ডস থামেন ৪৭ বলে ৬৭ রান করে।

তারপরও জয়ের আশায় এগোতে থাকে নেদারল্যান্ডস। শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন ছিল ৩০ রান। ফন বিক প্রথম তিন বলে দুই চার ও এক ছয় মেরে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন, শেষ বলে আরিয়ান দত্ত চার মারলে ২১ রান জমা হয়।

শেষ ওভারে দরকার ৯ রান। প্রথম বলে ফন বিক আলজারি জোসেফকে চার মারেন। দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল। তৃতীয় বলে আরিয়ান আউট। চতুর্থ ডেলিভারিতে বাই থেকে এক রান নেন ফ্লয়েড। শেষ দুই বলে দরকার ৩ রান, পঞ্চম বলে বিক দুটি রান আদায় করে স্কোর সমতায় রাখেন। শেষ বলে ফন বিককে ডানদিকে ঝাঁপিয়ে ক্যাচ নিয়ে ফেরান হোল্ডার। ১৪ বলে ২৮ রানে থামেন ফন বিক। তৃতীয় আম্পায়ার টিভি রিপ্লে দেখে আউটের সিদ্ধান্ত জানান। তাতে ম্যাচ টাই হয়। ৯ উইকেটে ৩৭৪ রান করে ডাচরা।

এর আগে জনসন চার্লস ও ব্র্যান্ডন কিংয়ের ১০১ রানের জুটিতে দারুণ শুরু করে ক্যারিবিয়ানরা। চার্লস ৫৪ রান করেন। কিং খেলেন ৭৬ রানের ইনিংস।

মিডল অর্ডারে নিকোলাস পুরান ৬৫ বলে ১০৪ রানের অপরাজিত ইনিংসে দলকে শক্ত অবস্থানে নেন। শাই হোপের (৪৭) সঙ্গে তার ১০৮ রানের জুটি ছিল।

শেষ দিকে কিমো পলের (৪৬) সঙ্গে ৭৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন পুরান। তার ইনিংসে ছিল ৯ চার ও ৬ ছয়। ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৭৪ রান করেছিল ক্যারিবিয়ানরা।

এ জয়-পরাজয়ের প্রভাব পড়েনি দুই দলের সুপার সিক্সে খেলার ওপর। আগেই তারা সেরা ছয় দলের জায়গা নিশ্চিত করেছে। যেখান থেকে শীর্ষ দুটি দল খেলবে আগামী বিশ্বকাপে। তবে টানা দুই হারে উইন্ডিজের আত্মবিশ্বাসে যে বড় ধাক্কা লাগলো, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ