ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কুষ্টিয়া দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় শোকজের উত্তর দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ এর বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধূরী অন্তরাসহ মোট পাঁচ অভিযুক্ত। তবে জানা গেছে এই শোকজ জবাবে এক অভিযুক্ত স্বাক্ষর করেনি। ৩০ মে মঙ্গলবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনিচুর রহমান এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আজ ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির মিটিং ছিল। এতে শেখ হাসিনা হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় যারা জড়িত ছিল তাদের জবাব উত্থাপন করা হয়। তবে জবাব উত্থাপন এর সময় এক অভিযুক্ত ওই জবাবে স্বাক্ষর করেননি। অভিযুক্তদের আগামী ১২ জুন সশরীরে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেদের বক্তব্য উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান আগামী ১২ জুন অভিযুক্তদের সশরীরে উপস্থিত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, তাদের প্রত্যেকের জন্য চিঠি ইস্যু করা হচ্ছে। অভিযুক্তদের জানানো হবে এবং আগামী ১২ তারিখ উপস্থিত হয়ে নিজেদের বক্তব্য উপস্থাপন করতে পারবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। এর আগে, এই ঘটনায় অন্তরাসহ ৫ জন অভিযুক্তকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। প্রসঙ্গত, গত ১১ ও ১২ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে দুই দফায় এক নবীন ছাত্রীকে রাতভর নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের তাবাচ্ছুম ইসলাম ও মোয়াবিয়া জাহান, আইন বিভাগের ইসরাত জাহান মীম ও ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মীর বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ছাত্রীর লিখিত অভিযোগের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, হল প্রশাসন ও শাখা ছাত্রলীগ এবং হাইকোর্ট কতৃক পৃথক পৃথকভাবে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এর প্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সাময়িক বহিষ্কার করা হয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ থেকেও বহিস্কার করা হয়।