মোঃ আব্দুল মতিন সরকার
লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ
লালমনিরহাটে আদিতমারী উপজেলার ইউনিয়নের চন্দনপাট গ্রামের সতী নদীর উপর সাগরঘাট নামক সেতুটি না থাকায় চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে দুই গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার জনসাধারন। চলাচলের জন্য বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় সেখানে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেছে এলাকাবাসী, কিন্তু সেটিরও বেহাল দশা। ফলে সাঁকোর ওপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে স্থানীয় বাসিন্দারা। দুর্ভোগ লাঘবে সতী নদীর উপর সেতু নির্মাণের ৩০ বছরের দাবি স্থানীয়দের। ভুক্তভোগী স্থানীয় বাসিন্দারা জানান কমলাবাড়ী ইউনিয়নের চন্দনপাট গ্রামকে বিভক্ত করেছে এই সতী নদী। নদীর ওপারে চন্দনপাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পাবনাডালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তাসকিয়াতুল উলুম মাদ্রাসা। শুষ্ক মৌসুমে কোনোমতে পার হতে পারলেও বর্ষায় ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলে যেতে পারে না।হাসপাতালে রোগী নিয়ে যাওয়া, জমি থেকে ধান কেটে নেওয়া এবং মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজ যেতে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষকে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়।সেতু না থাকায় বামনের বাসা রাস্তা হয়ে ০৪ কিলোমিটার ঘুরে আদিতমারী উপজেলায় যেতে হয়। ভুক্তভোগী আবুল কাশেম জানান জন্মের পর থেকে দেখতেছি এই গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ, বারবার মন্ত্রীর কাছে গেলেও শুধু আশ্বাস দেন। আমাদের একটাই দাবী আর আশ্বাস নয় আমরা ভুক্তভোগী সবাই ব্রিজ চাই। তাসকিয়াতুল উম্মুল মাদ্রাসা ও এতিমখানার একজন শিক্ষক জানান। শুকনো মৌসুমে ছাত্রছাত্রীরা ক্লাস করলেও বর্ষার সময় ক্লাস করতে পারে না, ফলে শিক্ষা ব্যবস্থার চরম বেঘাত ঘটে। স্থানীয় বাসিন্দা লালমনিরহাট সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আমিনুল ইসলাম জানায়, এই আসনের জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি মজিবুর রহমান ব্রিজের আশ্বাস দিলে কয়েকবার মাপযোগ হলেও পরে মেলেনি ব্রিজ। এরপর আমাদের মাননীয় সাংসদ নুরুজ্জামান আহমেদ প্রথমবার নির্বাচনের সময় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং দ্বিতীয়বার নির্বাচনের আগে তিনি নিজে এসে বলেছিলেন ব্রিজ এবং রাস্তার কাজ শুরু হবে। তৃতীয় ধাপে তার মেয়াদকাল শেষ পর্যায় তবুও মেলেনি ব্রিজ। জন্মের পর থেকে দেখে আসছি পর্যায়ক্রমে প্রকৌশলীরা মাপ যোগ করলেও নির্মান হয়নি ব্রিজ। তৃতীয় দফায় সরকার নির্বাচিত হওয়ার পরও সমস্যা সমাধানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রতিশ্রুতি মিলেছে বারবার। কিন্তু আজও প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হয়নি। এজন্য প্রতিশ্রুতি নয় এবার সেতু নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের। সেতু হলে কয়েক হাজার মানুষের যাতায়াতের যেমন সুবিধা হবে তেমনি জীবনযাত্রার মানও উন্নয়ন হবে। স্থানীয়রা জানান মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, কষ্টের অবসান ঘটিয়ে সেতুটি নির্মাণ করার নির্দেশ প্রদান করবেন এবং সেই সাথে আমরা স্থানীরা জোরদাবি জানাচ্ছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দেশে অনেক বড় বড় উন্নয়ন কাঠামো ও সেতু নির্মান হয়েছে আমরা চাই আমাদের সেতুটি দ্রুত নির্মান করে দুর্ভোগ কমাবেন সাধারণ জনগণের। এ বিষয়ে আদিতমারি উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মাইদুল ইসলাম বলেন সাগরঘাট ব্রীজের মাটি পরিক্ষা করা হয়েছে পরবর্তী কার্যক্রম চলমান আছে।