• শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন

সিটে বসাকে কেন্দ্র করে প্রশাসনের সামনেই ইবি শিক্ষার্থীদের মারামারি

স্বাধীন ভোর ডেস্ক / ৯০ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় মঙ্গলবার, ৩০ মে, ২০২৩

ইবি প্রতিনিধি :
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) কুষ্টিয়া ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের নবীনবরণকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সম্মুখে শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বেলা ১টার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের  বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে অনুষ্ঠান চলাকালীন সময় সিটে বসা ও স্টেজের সামনে নাচাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় সংঘর্ষ। এরপর ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় মোট ৫ দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে মাঝপথেই নবীনবরণ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের রাজা নামের এক শিক্ষার্থী তার বন্ধুর জন্য জায়গা রাখলে সেই সিটে অন্য একজন বসতে চাওয়ায় তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে রাজাকে মিলনায়তনের ৩য় তলায় ডেকে নিয়ে মারধর করেন হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের সাইমুম, অর্থনীতি বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের সাদী, ফিন্যান্স বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের সাকিব ও ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের আজাদ। পরে এই ঘটনার সূত্র ধরে মিলনায়তনের ভেতরে উপাচার্যের সামনেই একই বিভাগের রাজার বন্ধু ফুয়াদ ও সৈয়দ সাজিদুর রহমানকে এলোপাতাড়ি মারধর করা হয়। এতে আহত হয় সাজিদ নামের এক শিক্ষার্থী।  পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়। একই ঘটনায় মার্কেটিং বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের আলী রিয়াজ ও তূর্যকে মারধর করেন অ্যাকাউন্টিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাইমন ও তার বন্ধুরা। মিলনায়তনে নবীনবরণ অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক পর্ব চলাকালীন স্টেজের সামনে থেকে পাশে সরে যেতে বলায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ বাধে। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঝপথেই অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। এ বিষয়ে আহত শিক্ষার্থী ফুয়াদ বলেন, কথা কাটাকাটি নিয়ে প্রথমে কলার ধরাধরি হয়। পরবর্তীতে রাজাকে কয়েকজন মিলে বাহিরে ডেকে নিয়ে মারধর করে। সেখানে লোকজন জমা হওয়ায় পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে আমরা ভেতরে এসে বসি। এরপর কী হলো জানি না। তিনজন মিলে আবারও ভেতরে এসে আমাদের মারধর শুরু করেন। অভিযুক্ত অ্যাকাউন্টিং বিভাগের সাইমন বলেন, কোনো মারামারি হয়নি, শুধু হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। আমি বড়ভাইদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি জানাচ্ছি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসনে আজাদ বলেন, কোনো অভিযোগ পাইনি, মারামারি মিলনায়তনের পেছনের দরজার ওখানে হয়েছে। পরে সেখানে গেলে জড়িত কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। কোনো অভিযোগ পেলে এর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ