নান্দাইল (ময়মনসিংহ)প্রতিনিধিঃ নান্দাইলের প্রেমের বিয়ের ১০ দিন পর স্ত্রীর সাথে অভিমান করে বিষপানে আত্নহত্যা করেছে বর মো. ইমরান মিয়া (১৫) নামের এক কিশোর। ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার (২৮মে) রাত ১২ টার দিকে নান্দাইল সদর ইউনিয়নের ভাটি পাঁচানি গ্রামে। নিহত মো. ইমরান মিয়া ওই গ্রামের নুরুল ইসলামের পুত্র। সে স্থানীয় পাঁচানি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। স্থানীয় পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে – মো. ইমরান মিয়া স্থানীয় পাঁচানি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীতে পড়াশোনা অবস্থায় একই শ্রেণীর শিক্ষার্থী প্রতিবেশী সাথী আক্তার (১৫) সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। সাথী আক্তার ভাটি পাঁচানি গ্রামের জিয়াউর রহমানের কন্যা। গত ১৬ মে মো. ইমরান মিয়া ও সাথী আক্তার প্রেমের টানে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। পরে দুদিন পর ইমরানের বাবা নুরুল ইসলাম সাথী আক্তারের বাবাকে না জানিয়ে বিয়ে পড়িয়ে দেন। ৮দিন সংসারের পর স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মনমালিন্যে গত শনিবার (২৭মে) সাথী আক্তার রাগে অভিমানে বাবার বাড়িতে চলে যান। পরে ইমরান মিয়া তার বাবা নুরুল ইসলাম কে স্ত্রী সাথী আক্তার কে এনে দিতে চাপ দিলে তিনি এনে দিবেন বলে জানান। পরে রবিবার (২৮মে) রাত ৯ টার দিকে অভিমান করে বাড়ির পাশে এক মাচায় বসে বিষপান করে। পরিবারের লোকজন খোঁজ পেয়ে ইমরান মিয়া কে উদ্ধার করে নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ১২ টার দিকে মৃত্যু হয়। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে স্থানীয় ইউপি সদস্য আতিক হাসান বাবুল মুঠোফোনে বলেন – গত শনিবার আমার কাছে মেয়ের বাবা ও ছেলের বাবা এসেছিল। রবিবার দুই পক্ষকে ডাকলেও ছেলের বাবা সাড়া না দেওয়ায় সমস্যাটি সমাধান করতে পারিনি। রাতে ছেলেটি এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুজ্জামান রাশেদ মুঠোফোন বলেন- বিষপানে আত্নহত্যা করেছে বলে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। মরদেহ ময়মনসিংহ মেডিকেলে আছে ময়নাতদন্তের জন্য বলা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হবে।