• শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:০৫ পূর্বাহ্ন

জীববৈচিত্র্য রক্ষায় তিন মাসের জন্য সুন্দরবনে প্রবেশ বন্ধ

স্বাধীন ভোর ডেস্ক / ৪৭ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় সোমবার, ২৯ মে, ২০২৩

মোঃ আনিসুর রহমান,  মোংলা,  বাগেরহাট

আগামী ১ জুন  থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত পর্যটকসহ সকল ধরনের নৌচলাচল বন্ধ করা হয়েছে সুন্দরবনে। বনবিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয় সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, সুন্দরবন মৎস্য সম্পদের ভান্ডার। তাই মাছের প্রজনন ও বন্যপ্রাণীর বংশ বৃদ্ধি নির্বিঘ্ন করতে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সব ধরণের নৌযান, পর্যটকবাহী লঞ্চ-জালিবোটসহ বনের উপর নির্ভরশীল জেলে বাওয়ালীদের পুরোপুরি বনে প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নের জন্য গত ২০ মে থেকে সাগরে মাছ ধরা বন্ধ রাখা হযেছে, এ নির্দেশনা থাকবে আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত। বনবিভাগ এবং মৎস্য অফিসের তথ্যনুযায়ী, সুন্দরবনে ২৫১ প্রজাতির মাছের প্রজনন মৌশুম এই সময়। তাই বনবিভাগ থেকে জেলেদের জন্য সকল প্রকারের পাশ,পারমিট বন্ধ রাখা হবে৷ বনের নদী ও খালে নৌযান চলাচল করলে মাছের ডিম ছাড়তে সমস্যা হয় তাই সকল ধরণের নৌযান চলাচলও বন্ধ থাকবে।বন বিভাগের তথ্য মতে বর্তমানে ৩১৫ প্রজাতির পাখি, ৩৫ প্রকারের সরীসৃপ, ৪২ প্রকারের স্তন্যপায়ী প্রাণী রয়েছে। এখন তাদের প্রজনন মৌশুম চলছে, এজন্যই এমন সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছে সরকার। এদের মধ্যে প্রধান বন্যপ্রাণী হলো, বাঘ, হরিন, শুকর, বানর, কুমির, ডলফিন, ভোদড়, বনবিড়াল ও মেছোবাঘ সহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী। এছাড়াও বনের অভ্যন্তরে নদী ও খালে নৌযান বা পর্যটকরা  চলাচলের সময় শব্দ করলে প্রজনন বিঘ্নিত হয়। তাই নৌকা বা ট্রলার নিয়ে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আর পর্যটকদের জন্য দেশের একমাত্র বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র করমজল, পর্যটক স্পট হারবাড়িয়া, কটকা, কচিখালি, হিরোন পযেন্ট, নীলকমল, দুবলা, আলোর কোল, টাইগার পয়েন্ট, কলাগাছিয়াসহ ১১টি স্পটে বন্ধ হচ্ছে পর্যটক প্রবেশ। করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, সরকার তার রাজস্বের দিকে না তাকিয়ে সুন্দরবনের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য এবং বনের গহীনে মাছ ও বন্যপ্রাণীর বংশ বৃদ্ধির লক্ষে পশু পাখির প্রজনন নির্বিঘ্ন রাখতে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বন বিভাগের পক্ষ থেকে। সরকারের পক্ষ থেকে বন্ধের এই ৩ মাস হরিণ সহ সকল প্রকারের বন্যপ্রানী শিকার ও সুন্দরবনের নদী-খালে বিষ দিয়ে মাছ আহরণ বন্ধে কঠোর অবস্থানে থাকবে বনবিভাগ।তবে এই নিষেধাজ্ঞায় বিপদে পড়বে পর্যটন কেন্দ্রীক বয়বসা প্রতিষ্ঠান গুলো। সুন্দরবনকে কেন্দ্র করে মোংলায় গড়ে উঠেছে অসংখ্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, হোটেল ও রিসোর্ট। এই তিন মাস সুন্দরবনে প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকায় এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ