• বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:১৮ অপরাহ্ন

ইবির শিক্ষার্থীর চিকিৎসার খরচের দাবিতে প্রদান ফটকে অবরোধ

স্বাধীন ভোর ডেস্ক / ৮৫২ বার দেখা হয়েছে
প্রকাশের সময় বৃহস্পতিবার, ২৫ মে, ২০২৩

ইবি প্রতিনিধি : 

গত ১৬ই মে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে মঙ্গলবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়(ইবি) কুষ্টিয়া ক্যাম্পাসে বাসের সাথে ধাক্কা লেগে গুরুতর আহত হয় আইন বিভাগের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ শিহাব আহমেদ। তার চিকিৎসার খরচ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দেওয়ার দাবিতে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক বন্ধ করে অবস্থান নেয় শিহাব আহমেদ এর সহপাঠীরা। ২৪ই মে ২০২৩ বুধবার দুপুর ২টা থেকে প্রায় দেড় ঘন্টা প্রদান ফটক বন্ধ করে রাখে তার সহপাঠীরা। এ সময় ক্যাম্পাস হতে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহগামী দুপুরের বাস চলাচল বন্ধ থাকে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়ে। এ বিষয়ে আহত শিহাবের সহপাঠী কামাল হোসেন বলেন, শিহাবের এক্সিডেন্টের পর আমরা পরিবহন প্রসাশকের সাথে দেখা করি এবং কথা বলি। তিনি আমাদের আশ্বাস দেন যে একটা সুষ্ঠু তদন্তের সাপেক্ষে আমাদেরকে একটা ফলাফল দিবে এবং শিহাবকে সাহায্য সহযোগিতা করবে। পরিবহন প্রশাসক আজকে আমাদেরকে ডেকেছিল। আমরা যাওয়ার পর তিনি আমাদেরকে পাঁচ হাজার টাকা দেন শিহাবের চিকিৎসা বাবদ। এরপর আমরা বললাম এই টাকা দিয়ে ওর যে এক্সিডেন্ট হয়েছে তার সিকিপায়ও হবে না। তখন স্যার বলেন আমার হাতে আর নাই তোমাদের যা ইচ্ছে তাই করো। ঐ অবস্থায় আমরা চলে আসতেছিলাম। এ সময় কিছু কর্মকর্তা আমাদের সাথে খুব বাজে ব্যবহার করে। কর্মকর্তারা বলে এই বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তাদের তোমাদের জন্য নয়। আমাদের সাথে কর্মকর্তাদের কথার বাকবিতণ্ডা হলে একপর্যায়ে তারা আমাদের দিকে তেড়ে আসেন। কামাল হোসেন আরও বলেন, আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিহাবের যে এক্সিডেন্ট হয়েছে তার চিকিৎসার খরচ বহন করবে; যেহেতু এই এক্সিডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তার মাধ্যমে হয়েছে। আর কর্মকর্তারা কেন শিক্ষার্থীদের সাথে বাজে ব্যবহার করবে তার সুষ্ঠু বিচার চাই। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদের আশ্বাসে অবস্থান কর্মসূচি তুলে নেয়। পরবর্তীতে প্রক্টর অফিসে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা হয়। এবিষয়ে পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, যে কর্মকর্তার কারণে এক্সিডেন্টটা হয়েছিলো তাকে আমি শিহাবের আর্থিক ব্যবস্থার কথা বলেছিলাম। আজকে তিনি পাঁচ হাজার টাকা আমার হাতে দিলে আমি আহত শিক্ষার্থীর সহপাঠী কামালের হাতে দিলে ওরা টাকাটা নেয়নি। এছাড়াও কর্মকর্তাদের বাজে ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ